Shri Bajrang Baan Bengali Lyrics – বাংলায় শ্রী বজরং বান

বজরং বান হল একটি শক্তিশালী হিন্দু প্রার্থনা, যা হনুমান দেবতার উদ্দেশ্যে পাঠ করা হয়। “বজরং” শব্দটির অর্থ হল শক্তিশালী, যেহেতু হনুমান দেবতা একদিকে যেমন সাহসী, তেমনি অপরদিকে তাঁর শরীর বজ্রের মতো শক্তিশালী। “বান” মানে হল “বাণ” বা “অস্ত্র”, যা আমাদের জীবনের দুঃখ-কষ্ট ও বাধা কাটিয়ে ওঠার শক্তি দেয়। এই প্রার্থনাটি বিশেষ করে বিপদের সময় বা শত্রু থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পাঠ করা হয়। হনুমানের কৃপা লাভের জন্য এবং জীবনে সফলতা অর্জনের জন্য বজরং বান এক গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থনা।

hanuman

Bajrang Baan in Bengali – বাংলায় শ্রী বজরং বান

নিশ্চয প্রেম প্রতীতি তে, বিনয করৈ সনমান ।
তেহি কে কারজ সকল সুভ, সিদ্ধ করৈ হনুমান ॥

চৌপাঈ
জয হনুমংত সংত হিতকারী । সুন লীজৈ প্রভু অরজ হমারী ॥
জন কে কাজ বিলংব ন কীজৈ । আতুর দৌরি মহা সুখ দীজৈ ॥

জৈসে কূদি সিংধু মহিপারা । সুরসা বদন পৈঠি বিস্তারা ॥
আগে জায লংকিনী রোকা । মারেহু লাত গী সুরলোকা ॥

জায বিভীষন কো সুখ দীন্হা । সীতা নিরখি পরমপদ লীন্হা ॥
বাগ উজারি সিংধু মহং বোরা । অতি আতুর জমকাতর তোরা ॥

অক্ষয কুমার মারি সংহারা । লূম লপেটি লংক কো জারা ॥
লাহ সমান লংক জরি গী । জয জয ধুনি সুরপুর নভ ভী ॥

অব বিলংব কেহি কারন স্বামী । কৃপা করহু উর অংতরযামী ॥
জয জয লখন প্রান কে দাতা । আতুর হ্বৈ দুখ করহু নিপাতা ॥

জৈ হনুমান জযতি বল-সাগর । সুর-সমূহ-সমরথ ভট-নাগর ॥
ওং হনু হনু হনু হনুমংত হঠীলে । বৈরিহি মারু বজ্র কী কীলে ॥

ওং হ্নীং হ্নীং হ্নীং হনুমংত কপীসা । ওং হুং হুং হুং হনু অরি উর সীসা ॥
জয অংজনি কুমার বলবংতা । শংকরসুবন বীর হনুমংতা ॥

বদন করাল কাল-কুল-ঘালক । রাম সহায সদা প্রতিপালক ॥
ভূত, প্রেত, পিসাচ নিসাচর । অগিন বেতাল কাল মারী মর ॥

ইন্হেং মারু, তোহি সপথ রাম কী । রাখু নাথ মরজাদ নাম কী ॥
সত্য হোহু হরি সপথ পাই কৈ । রাম দূত ধরু মারু ধাই কৈ ॥

জয জয জয হনুমংত অগাধা । দুখ পাবত জন কেহি অপরাধা ॥
পূজা জপ তপ নেম অচারা । নহিং জানত কছু দাস তুম্হারা ॥

বন উপবন মগ গিরি গৃহ মাহীম্ । তুম্হরে বল হৌং ডরপত নাহীম্ ॥
জনকসুতা হরি দাস কহাবৌ । তাকী সপথ বিলংব ন লাবৌ ॥

জৈ জৈ জৈ ধুনি হোত অকাসা । সুমিরত হোয দুসহ দুখ নাসা ॥
চরন পকরি, কর জোরি মনাবৌম্ । যহি ঔসর অব কেহি গোহরাবৌম্ ॥

উঠু, উঠু, চলু, তোহি রাম দুহাঈ । পাযং পরৌং, কর জোরি মনাঈ ॥
ওং চং চং চং চং চপল চলংতা । ওং হনু হনু হনু হনু হনুমংতা ॥

ওং হং হং হাংক দেত কপি চংচল । ওং সং সং সহমি পরানে খল-দল ॥
অপনে জন কো তুরত উবারৌ । সুমিরত হোয আনংদ হমারৌ ॥

যহ বজরংগ-বাণ জেহি মারৈ । তাহি কহৌ ফিরি কবন উবারৈ ॥
পাঠ করৈ বজরংগ-বাণ কী । হনুমত রক্ষা করৈ প্রান কী ॥

যহ বজরংগ বাণ জো জাপৈম্ । তাসোং ভূত-প্রেত সব কাপৈম্ ॥
ধূপ দেয জো জপৈ হমেসা । তাকে তন নহিং রহৈ কলেসা ॥

দোহা
উর প্রতীতি দৃঢ়, সরন হ্বৈ, পাঠ করৈ ধরি ধ্যান ।
বাধা সব হর, করৈং সব কাম সফল হনুমান ॥

বজরং বান পড়ার উপকারিতা

১. আশীর্বাদ লাভ করা
বজরঙ্গ বাণের পাঠ করার মাধ্যমে শ্রী হানুমানজির আশীর্বাদ লাভ হয়, যা জীবনে অবিচলিত সফলতা, সুখ এবং শান্তির অনুভূতি প্রদান করে। এটি আমাদের আত্মবিশ্বাস এবং মানসিক শান্তি প্রদান করে, যাতে আমরা জীবনের সকল কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারি।

২. শত্রুদের থেকে সুরক্ষা
এই প্রার্থনা শত্রু এবং নেতিবাচক শক্তি থেকে সুরক্ষা প্রদান করার জন্য পরিচিত। বাজরঙ্গ বাণের নিয়মিত পাঠ আমাদের মানসিক এবং শারীরিকভাবে শক্তিশালী করে, যা আমাদের যে কোনো বিপদ সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করার শক্তি দেয়।

৩. বিপদে বিজয় লাভ করা
যখন আমরা জীবনের কোনো বড় বিপদ বা সমস্যা মোকাবিলা করি, তখন বাজরঙ্গ বাণের পাঠ আমাদের সেই সমস্যার উপর বিজয় অর্জনের শক্তি দেয়। এটি আমাদের মানসিক এবং আধ্যাত্মিক শক্তি প্রদান করে, যাতে আমরা প্রতিটি সংকট থেকে মুক্তি পেতে পারি।

৪. শক্তি এবং সাহস পাওয়া
বজরঙ্গ বাণের পাঠ আমাদের ভিতর থেকে শক্তিশালী করে। এটি আমাদের শারীরিক, মানসিক এবং আবেগিকভাবে শক্তি প্রদান করে, যাতে আমরা শুধু ব্যক্তিগত জীবনেই নয়, সমাজেও সাহস এবং নেতৃত্বের উদাহরণ স্থাপন করতে পারি।

৫. আত্ম-নিয়ন্ত্রণ এবং শৃঙ্খলা
নিয়মিত বাজরঙ্গ বাণের পাঠ আমাদের মধ্যে আত্ম-নিয়ন্ত্রণ এবং শৃঙ্খলার অনুভূতি জাগিয়ে তোলে। এটি আমাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার এবং আমাদের অভ্যাসগুলোকে সঠিকভাবে গঠন করার জন্য প্রেরণা দেয়।

৬. মানসিক শান্তি এবং ভারসাম্য
বজরঙ্গ বাণের পাঠ মানসিক শান্তি এবং ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি আমাদের চিন্তা এবং অনুভূতিগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার শক্তি দেয়, যার ফলে আমরা মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ থেকে মুক্ত থাকতে পারি।

৭. আধ্যাত্মিক উন্নতি
এই প্রার্থনা আমাদের আধ্যাত্মিক উন্নতির পথে নির্দেশনা প্রদান করে। বাজরঙ্গ বাণের পাঠ আমাদের আত্মার শুদ্ধি এবং পরমাত্মার সাথে সান্নিধ্য অনুভব করার সুযোগ দেয়, যার ফলে আমাদের জীবনের লক্ষ্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

shri bajrang baan

Frequently Asked Questions (FAQs)

বজরং বান কি এবং এর কী গুরুত্ব?

বজরং বান একটি হিন্দু প্রার্থনা যা প্রধানত হনুমান দেবতাকে উদ্দেশ্য করে পাঠ করা হয়। “বজরং” শব্দটির মানে হল শক্তিশালী, কারণ হনুমান দেবতা অত্যন্ত সাহসী এবং শক্তিশালী। “বান” মানে অস্ত্র বা বাণ, যা জীবনের সকল বিপদ দূর করতে সাহায্য করে। এই প্রার্থনাটি বিশেষভাবে বিপদ, শত্রু, কিংবা জীবনের বাধা দূর করতে ও শক্তি ও সাহস পেতে পাঠ করা হয়। এটি একটি বিশেষ ধরনের শাস্ত্রীয় প্রার্থনা, যা ব্যক্তির জীবনে শান্তি, সাফল্য এবং নিরাপত্তা আনে।

বজরং বান কখন এবং কীভাবে পাঠ করা উচিত?

বজরং বান সাধারণত বিপদের সময় বা কোনো বড় বাধার সম্মুখীন হলে পাঠ করা হয়, তবে এটি প্রতিদিনও পাঠ করা যেতে পারে। অনেক ভক্ত সকালের সময় বা সন্ধ্যায় একাগ্র মনোযোগ দিয়ে এই প্রার্থনাটি পাঠ করেন। এটি খুবই শক্তিশালী প্রার্থনা, তাই মনোযোগ দিয়ে এবং পূর্ণ বিশ্বাসের সাথে পাঠ করা উচিত। যদি কোনও বিশেষ বিপদ থাকে, তবে সেটি তাড়াতাড়ি কাটিয়ে ওঠার জন্য এই প্রার্থনাটি আরও বেশি সময় ধরে করা যেতে পারে।

বজরং বান পাঠের উপকারিতা কী?

বজরং বান পাঠের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি শারীরিক এবং মানসিক শক্তি লাভ করেন। এটি বিশেষভাবে বিপদ কাটানোর জন্য কার্যকর, কারণ এটি শত্রু ও প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করে। এই প্রার্থনাটি মনোবল বৃদ্ধির পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি করে, যার ফলে জীবনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সহজ হয়ে ওঠে। হনুমান দেবতার আশীর্বাদ লাভের জন্য এই প্রার্থনাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা জীবনে সাফল্য, সুখ, এবং শান্তি এনে দেয়।

বজরং বান কতবার পাঠ করা উচিত?

বজরং বান পাঠের কোনও নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই, তবে এটি অন্তত 1 বার বা 11 বার পাঠ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। যদি কোনও বিশেষ সমস্যা বা বিপদ থাকে, তবে এটি নিয়মিতভাবে 108 বার বা 1008 বার পাঠ করাও শুভ। তবে, এর মূল বিষয় হল বিশ্বাস এবং মনোযোগ, তাই যতটুকু সময় আপনি দিতে পারেন, ততটুকু পাঠ করুন। নিয়মিত পাঠ করলে এর পূর্ণ উপকারিতা পাওয়া যায়।

বজরং বান পাঠের জন্য বিশেষ কোন জিনিস প্রয়োজন?

বজরং বান পাঠের জন্য বিশেষ কোনো উপকরণের প্রয়োজন নেই, তবে যদি আপনি পূজা করেন, তাহলে একটি লাল বা সাদা রংয়ের কাপড়, একটি প্রদীপ, এবং গঙ্গাজল ব্যবহার করা যেতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, প্রার্থনা করার সময় একাগ্র মনোযোগ এবং বিশ্বাস রাখতে হবে। এটি সম্পূর্ণভাবে আপনার মন থেকে শুদ্ধতা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করার প্রার্থনা, যা আপনাকে দেবতার আশীর্বাদ আনতে সাহায্য করবে।

বজরং বান পাঠ করলে কী ধরনের পরিবর্তন আশা করা যেতে পারে?

বজরং বান পাঠের মাধ্যমে জীবন থেকে বিপদ, শত্রু এবং সমস্ত রকমের বাধা দূর হয়ে যায়। এটি সাফল্য, শান্তি এবং সুস্থতা আনে। যারা এই প্রার্থনাটি নিয়মিত ও বিশ্বাসের সঙ্গে পাঠ করেন, তারা জীবনে বড় ধরনের উন্নতি এবং পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারেন। এর মাধ্যমে সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনে শান্তি এবং সমৃদ্ধি আসতে পারে। হনুমান দেবতার আশীর্বাদে, জীবনের সব ক্ষেত্রেই সফলতা লাভের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

বজরং বান কি শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মের মানুষের জন্য, নাকি অন্য ধর্মের মানুষও এটি পাঠ করতে পারেন?

বজরং বান হিন্দু ধর্মের একটি প্রার্থনা হলেও, এটি কোনও নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষদের জন্য সীমাবদ্ধ নয়। যারা হনুমান দেবতার প্রতি বিশ্বাসী, বা যারা নিজেদের জীবনে শক্তি এবং সাহস আনতে চান, তারা এটি পাঠ করতে পারেন। প্রার্থনা বা মন্ত্র পাঠের উদ্দেশ্য হল একাগ্রতা, বিশ্বাস, এবং আত্মবিশ্বাস তৈরি করা। তাই, যে কেউ এটি নিয়মিত পাঠ করতে পারে, ধর্ম বা সম্প্রদায়ের পার্থক্য ছাড়াই, যদি তারা দেবতার আশীর্বাদ চান এবং শান্তি ও সাফল্য লাভের জন্য চেষ্টা করেন।

বজরং বান কি শুধুমাত্র বিপদের সময় পাঠ করা উচিত, নাকি প্রতিদিনও পাঠ করা উচিত?

বজরং বান শুধুমাত্র বিপদের সময় পাঠ করা উচিত, এমন কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। এটি প্রতিদিনও পাঠ করা যেতে পারে, কারণ এটি শুধুমাত্র বিপদের সময় নয়, জীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে শক্তি, সাহস এবং আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে সহায়ক। নিয়মিত বজরং বান পাঠের মাধ্যমে একাগ্রতা এবং আধ্যাত্মিক শান্তি অর্জন করা যায়, যা জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে সহায়ক হতে পারে। বিশেষ করে যারা মনে করেন যে তাদের জীবনে সমাধানযোগ্য সমস্যা বা চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তারা নিয়মিত এটি পাঠ করে নিজের শক্তি বৃদ্ধি করতে পারেন।

Conclusion

বজরং বান একটি অত্যন্ত শক্তিশালী প্রার্থনা যা আমাদের জীবনে সাহস, শক্তি এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এটি বিপদের সময় বিশেষ করে কার্যকর, কারণ এটি শত্রু, শারীরিক ও মানসিক বাধা থেকে মুক্তি পাওয়ার শক্তি প্রদান করে। যারা এই প্রার্থনাটি পূর্ণ বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধা নিয়ে পাঠ করেন, তারা হনুমান দেবতার আশীর্বাদ লাভ করেন এবং জীবনের সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হন। বজরং বান পাঠের মাধ্যমে একদিকে যেমন আমাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়, তেমনি জীবনযুদ্ধের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা অর্জনের সম্ভাবনাও বাড়ে। এর ফলে, আমাদের মনে এক শক্তিশালী শান্তি ও নিরাপত্তা অনুভূত হয়, যা আমাদের এগিয়ে চলতে প্রেরণা দেয়।

Leave a Comment